অর্থ পাচারকারীদের জীবন কঠিন করা হবে : গভর্নর
১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০১ এএম

ইসলামি ব্যাংকিং খাত ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ ষ বড় দুই ব্যাংকে একীভ‚ত হবে সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলো
পাচার করা অর্থ উদ্ধারে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, যারা অর্থপাচার করেছে, তাদের জীবন কঠিন করে ফেলা হবে। এমন দৃষ্টান্ত হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ অর্থ পাচার না করে।
গতকাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন গভর্নর। বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আব্দুল হান্নান চৌধুরী। এ সময় গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, পাচার করা অর্থ উদ্ধারে বিভিন্ন দেশের সংস্থার সঙ্গে কাজ চলছে। এখানে আইনি ও নৈতিক-উভয় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, দেশের ব্যাংক খাতের সংস্কার চলমান রাখতে রাজনৈতিক সমর্থন প্রয়োজন। রাজনীতির পালাবদল হলেও এসব সংস্কার চলতে হবে। ইসলামী ব্যাংকগুলোকে একীভ‚ত করে দুটি বড় ইসলামী ব্যাংক গড়ে তোলা হবে। সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর বেশির ভাগের মূলধনের ঘাটতিতে আছে। তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। এসব ব্যাংকগুলো ঠিক করতে কয়েক বছর লাগতে পারে। তবে রাজনীতির পালাবদলে এসব সংস্কারে সমর্থন লাগবে। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখতে হবে। এসময় গভর্নর আরও বলেন, যেসব ব্যাংকে অনিয়ম হয়েছে আমানতকারীর স্বার্থে সেগুলোর পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এসব ব্যাংকের মধ্যে প্রথমে ১১টি পরে আরও দুইটি ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। একটি ব্যাংক নিজেই পর্ষদে পরিবর্তন এনেছে। তিনি বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে যেখানে পর্ষদে কারা আসবেন, স্বতন্ত্র পরিচালক কারা হবেন, তাদের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
গভর্নর বলেন, বর্তমানে বেশিরভাগ ইসলামি ঘরানার ব্যাংক নানা ধরনের সংকটে রয়েছে। এ খাতের জন্য যথাযথ নিয়ন্ত্রণ কাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি, আইনি দিক থেকেও ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে কাজ করছে। গভর্নর তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন ও হস্তক্ষেপ দীর্ঘদিনের সমস্যা। এটি বন্ধ করতে হবে। একটি নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর আওতায় পুরো ব্যাংকিং খাতকে আনতে হবে, এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশ ব্যাংক তার তদারকি ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার কাজ করছে বলেও জানান তিনি। ‘যাতে আমরা ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ না করেই অনিয়ম শনাক্ত করতে পারি,’ বলে উল্লেখ করেন গভর্নর। এই সম্মেলনে ব্যাংক খাতের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে অংশ নেন দেশ-বিদেশের ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞরা, নীতিনির্ধারক ও গবেষকরা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

পল্লী বিদ্যুতের সাবস্টেশন থেকে লাশ উদ্ধার

পাকিস্তানের প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআইপ্রধান

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটার যানজট, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

টানা সাত রাত ধরে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি

কেইপিজেডে পাহাড়ধসে নিহত ২, আহত ২

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো বরিশালের আমড়া

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে ফের মাছ ধরা শুরু

ইসরায়েলে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দাবানল

ইনকিলাব পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ইউএনওকে বদলি

লালপুরে মহান মে দিবস পলিত

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

আজ শ্রমিক সমাবেশ করবে বিএনপি, বক্তব্য দেবেন তারেক রহমান

জয়শঙ্কর-শেহবাজ শরিফকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন, কী বার্তা দিলেন?

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ শীর্ষে ঢাকা

দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা

ফেঁসে যাচ্ছে আওয়ামী দালাল ১৭ অভিনয়শিল্পী

দুদকের রেকর্ড সাফল্য: ৮ মাসে ১৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

পল্টনে শ্রমিক সমাবেশ শুরু, দলে দলে আসছেন নেতাকর্মীরা

অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে খনিজ সম্পদ চুক্তি সই

নির্ধারিত সময়ের ২ মাস পূর্বে সকল দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা